Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গণশুনানি, ‘পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)’, (সনদ নং-১৫৯)


প্রকাশন তারিখ : 2024-10-29

গণশুনানি, ‘পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)’, (সনদ নং-১৫৯)

 

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির উদ্যোগে ২৯/১০/২০২৪ তারিখে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)’, (সনদ নং-১৫৯), এর কিশোরগঞ্জ জেলার ছাতিরচরে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং ভাসমান বিদ্যালয় ও ভাসমান স্বাস্থ্য সেবা পরিদর্শন করা হয়। উক্ত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন মহোদয়। এছাড়াও অথরিটির নির্বাহী পরিচালক সর্বজনাব মোঃ নূরে আলম মেহেদী, পরিচালক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, উপপরিচালক মোঃ ফকরুজ্জামান, সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম ও মোঃ আল-আমিন উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘পপি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মুর্শেদ আলম সরকার। এছাড়াও সভায় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি, প্রায় ৪০ জন গ্রাহক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ইভিসি মহোদয় প্রথমে ছাতিরচর এলাকায় ‘পপি ভাসমান বিদ্যালয়’ ও ‘পপি ভাসমান স্বাস্থ্য সেবা’ পরিদর্শন করেন।

অথরিটির যুগ্ম পরিচালক জনাব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান গণশুনানির অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। শুরুতে পপির পরিচালক জনাব মশিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে পপি ছাতিরচর এলাকায় এমআরএ আইন, বিধি ও নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করে আসছে। উক্ত এলাকায় ভবিষ্যতে আরও গ্রাহকবান্ধব কাজ করার আশ্বাস দেন।

সভায় উপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সমিতির গ্রাহকরা ঋণ গ্রহণ করে তাদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প শুনান। বর্তমানে তারা সবাই স্বাবলম্বী, সচ্ছল ও সফল উদ্যোক্তা। সকল গ্রাহক প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে বর্ণনা ও তাদের সফলতার পিছনে সংগ্রামের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। গ্রাহক জনাব উম্মে হাবিবা আঁখি দীর্ঘদিন ধরে পপির সদস্য। তিনি বলেন, এককালীন বা দুই কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ঋণ দিলে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হবে, কেননা মাসিক বা সাপ্তাহিক কিস্তি চালাতে গ্রাহকদের অনেক অসুবিধা হয়। অনেক সময় গ্রাহকদের নিরুপায় হয়ে মহাজনের থেকে সুদের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। জনাব পরশ মালা বলেন, ছাতিরচর এলাকার মানুষদের বছরে ৬ মাস কাজ থাকে বাকি ৬ মাস বেকার বসে থাকতে হয়। তিনি ২০,০০০/- টাকা ঋণ নিয়ে গাভী ক্রয় করার পাশাপাশি সেলাই মেশিন কিনে সেলাইয়ের কাজ করছেন। মাসিক বা সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ নিয়ে গাভী পালন করলে কিস্তি দিতে হিমশিম খেতে হয়। এককালীন কিস্তিতে ঋণ বা মৌসুমী ঋণ দিলে একটা সময় গাভী বিক্রয় করে ঋণের টাকা পরিশোধ করা যাবে এতে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হবে। গ্রাহক জনাব আইরিন আক্তার বলেন, আগে ছাতিরচর গ্রামে মহাজন থেকে ঋণ গ্রহণ করা হতো। পপি উক্ত এলাকায় কার্যক্রম শুরু করলে মহাজনী ঋণ গ্রহণ বন্ধ হয়। তিনি গ্রাহক স্বার্থে কিছু পরামর্শ দেন। যেমন: জামিনদার ছাড়া ঋণ দেয়া, ক্ষুদ্রঋণের সার্ভিস চার্জ ক্রমহ্রাসমানস্থিতি পদ্ধতিতে ২৪% হতে হ্রাস, আমানতের বিপরীতে লভ্যাংশ ৬% থেকে বাড়ানো ইত্যাদি। ছাতিরচর এলাকায় ৬ মাস শুকনো এবং ৬ মাস বর্ষা থাকায় গ্রামের মানুষ বর্ষাকালে এলাকার বাইরে কাজের সন্ধানে যান‌ সেজন্য তিনি এককালীন অথবা ২ কিস্তিতে ঋণ দেয়ার অনুরোধ করেন। গ্রাহক জনাব জোহরা ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গাভি ক্রয় করেন। পপি থেকে ঋণ নিয়ে ছেলেকে প্রবাসে পাঠান। তার ছেলে বর্তমানে মাসে ৪০,০০০/- টাকা পাঠাতে পারেন। আরেক গ্রাহক জনাব মরিয়ম প্রথম ১৫,০০০/- টাকা ঋণ নিয়ে কাপড়ের ব্যবসার পাশাপাশি সেলাই কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি ৪ লক্ষ টাকা পপি থেকে ঋণ গ্রহণ করে কাপড়ের ব্যবসার পাশাপাশি টেইলারিংয়ের কাজ করেন এবং তার স্বামী কৃষি কাজের পাশাপাশি গাভী পালন করেন। ঋণের সিলিং বাড়িয়ে ২ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য প্রবাসী ঋণ দেয়ার অনুরোধ করেন। ছাতিরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়াররম্যান জনাব হানিফ ইসলাম। এছাড়াও তিনি এককালীন কিস্তি, গাভী পালনে এককালীন ঋণ, নদী ভাঙ্গন, ভরাট ও বাঁধ নির্মাণ তথা হাওড় উন্নয়নে কিছু করার অনুরোধ করেন। ছাতিরচর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জনাব জিল্লুর রহমান বলেন হাওড়ের মানুষ ৬ মাস শুকনো ও ৬ মাস বর্ষায় কাঁটান। উক্ত এলাকায় গাভী পালনে অনেক সুবিধা। কিন্তু অধিকাংশ লোকজন ভাগে (বর্গা) কিংবা মহাজনের নিকট হতে অর্থ নিয়ে গাভী পালন করেন, উক্ত গাভী মালিকের সুবিধা মতো বিক্রি করা লাগে সেক্ষেত্রে পালনকারীর খুব একটা লাভ হয় না। কৃষি যন্ত্রপাতি, গাভী পালন ও কৃষি কাজে এককালীন ঋণ দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন কৃষি ও গাভী পালন ঋণের মাসিক কিস্তি দিতে অনেক অসুবিধা হয় এমনকি মহাজনের নিকট হতে সুদের উপর অর্থ নিয়ে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। সমাজসেবক হাজী জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রাহক স্বার্থে প্রবাসী ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, ভাসমান বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শীতকালে শীতের কাপড় ও জুতার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জনাব আসিফ বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে উঠাবসা থাকায় অনেক সময় দেখা যায় গ্রাহকরা ঋণ নিয়ে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারেন না। সেজন্য গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার আগে সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করে ঋণ দেয়ার পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে যে স্কিমে ঋণ দেয়া হবে সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিয়ে ঋণ প্রদান করলে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সমিতির সদস্য অথরিটির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ পেশ করেন:

১. ঋণের সার্ভিস চার্জের হার হ্রাসকরণ;

২. বাধ্যতামূলক আমানতের লাভ বৃদ্ধিকরণ;

৩. এককালীন ঋণ দেয়ার ব্যবস্থাকরণ;

৪. কৃষি ও গাভী পালন ঋণ কার্যকর করা;

৫. মৌসুমী ঋণ প্রদান;

৬. প্রসাবী ঋণ প্রদান;

৭. সকল সদস্যদের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকরণ;

৮. গ্রাহকদের গবাদি পশু, হাঁস মুরগি পালন, সেলাই, কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান;

৯. ঋণের সিলিং বৃদ্ধিকরণ;

১০. ঋণের সময়সীমা ১ বছর থেকে বাড়িয়ে ২ বছরে বৃদ্ধিকরণ;

১১. মৎস্য চাষ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস বা ১ বছর মেয়াদী করা;

 

অথরিটির পরিচালক জনাব মোহাম্মদ কামাল হোসেন এমআরএ’র কার্যক্রম, গণশুনানির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা, গ্রাহকদের ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়া, ঋণের ব্যবহার, সার্ভিস চার্জের হার, কিস্তি সংখ্যা, পাশবইয়ে এমআরএ সনদ নম্বর ও হটলাইন নম্বর উল্লেখ রয়েছে কিনা, কেন ঋণের সার্ভিস চার্জ ২৪% ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। অথরিটির নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ নূরে আলম মেহেদী প্রান্তিক মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ‘পপি’র ভাসমান বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সেবা ও ঋণ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংশা করেন। উক্ত চরবাসীদের কারিগরি দক্ষতা অর্জন করে বিদেশে পাড়ি দিতে এবং গ্রাহকদের পাস বই নিজেদের কাছে সংরক্ষণ, ঋণের টাকার সঠিক ব্যবহার করে সাবলম্বী হওয়ার পরামর্শ দেন। উক্ত এলাকায় পপিকে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য আহবান জানিয়ে ছাতিরচর একটা মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে উঠবে বলে সেই আশা ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন।  

অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আরও কি কি করলে গ্রাহকরা বেশি উপকৃত হবেন, ঋণের যে প্রোডাক্টগুলো আছে সেখানে নতুন কি কি সংযোজন করা যায় অথবা যে ঋণ গুলো আছে সেগুলো কিভাবে একটু পরিবর্তন করলে গ্রাহকদের আরও সুবিধা হয় সেগুলো জানতেই এসেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে অথরিটির যত ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান আছে তার মধ্যে পপিও একটি। অথরিটি শুধু অর্থায়নের দিকটা খেয়াল করে না, অর্থায়নের পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহ অন্যান্য যে সব কাজ করছে সেগুলোও অথরিটি পর্যবেক্ষণ করে। কিভাবে বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের সহায়তা করা যায় সেই দিকগুলো বিবেচনা করে গ্রাহকদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করাই অথরিটির প্রধান উদ্দেশ্য। ছাতিরচর এলাকায় পপি’র ভাসমান স্কুল পরিদর্শন করে অনুধাবন করলাম, ভাসমান স্কুলে যদি কোন ভাবে পঞ্চম শ্রেণির পরে আরও ৫টি ক্লাস যুক্ত করা যায় তাহলে উক্ত গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক সুবিধা হতো। ছাতিরচর প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় উক্ত এলাকার রোগীদের জরুরী সেবা প্রদানের জন্য একটি স্পিড বোটের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেবিষয়ে ভেবে দেখার ও শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবায় আরও গুরুত্ব দেয়ার জন্য পপি কর্তৃপক্ষকে ইভিসি মহোদয় পরামর্শ দেন। পপি বর্তমানে একাই বোটের মাধ্যমে ভাসমান হাসপাতাল হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছে। যদি মোটামুটিভাবে এটাকে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করা যায় তাহলে অত্র গ্রামের মানুষ সহজেই আরও উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পাবেন। বাংলাদেশে যারা স্বাস্থ্যের অধিকর্তা রয়েছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা করলে উক্ত সেবাকে আরও সমৃদ্ধ করা যাবে। গ্রাহকদের বক্তব্যগুলো মনোযোগ সহকারে শুনে ইভিসি মহোদয় একটি বিশেষ স্কিমের মাধ্যমে এককালীন পরিশোধযোগ্য প্রবাসী ঋণ দেয়া গেলে গ্রাহকদের অনেক সুবিধা হবে মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি ছাতিরচর ভাসমান স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্নগুলো শুনে অভিভূত হোন এবং পপির এধরনের কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। ঋণের সার্ভিস চার্জ ১/২% কমানোর এবং সম্ভব হলে ফান্ডিং কস্ট কমানোর চেষ্টা করা হবে মর্মে উল্লেখ করবেন। গাভী পালন ও কৃষি কাজের ঋণ বাড়ানোর সুযোগ দিয়ে এককালীন কিস্তির ব্যবস্থা করা যায় কিনা পপি কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়টি বিবেচনা করার সুপারিশ করেন।

জনাব মুর্শেদ আলম সরকার গ্রাহকদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক কথা এবং গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি পপি কর্তৃক বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য, পোশাক সেবা দেয়া হয়, প্রতিষ্ঠানে মৌসুমী ঋণ ও গবাদি পশুর ঋণ চালু আছে মর্মে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেন। রোগ বা ফসলের খরার কারণে মৌসুমী ঋণ আদায়ে বেগ পেতে হয় তবুও গ্রাহকরা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে দীর্ঘ পরিসরে চালু করা সম্ভব মর্মে জানান। পপির মাধ্যমে মহিষ পালনের ভালো-মন্দ দিক নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং কৃষি, মৌসুমী ও গবাদি পশুর ঋণের জন্য আরও গুরুত্ব দেয়া হবে মর্মে গ্রাহকদের অবহিত করেন। ভাসমান হাসপাতালের কাজ চলমান রয়েছে। এটি বড় অর্থের প্রোজেক্ট হওয়ায় কাজ সম্পন্ন হতে আরও সময় প্রয়োজন। এছাড়াও ছাতিরচর এলাকার জন্য একটা ক্লিনিক করা যায় কিনা চেষ্টা করা হবে, ভাসমান স্কুল কিভাবে আরও বড় করা যায় সে বিষিয়ে চিন্তা করবেন মর্মে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেন। গ্রাহকদের প্রবাসী ঋণ দেয়া যাবে তবে ১ মাস পর হতে কিস্তি দিতে হবে এবং ৬ মাস বা এক বছরের মধ্যে ফেরত দিলে পপি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ভেবে দেখবেন মর্মে বলা হয়। গ্রামের ভালো অবস্থানে যারা আছে তারা এগিয়ে আসলে এবং গ্রাহকরা সহযোগিতা করলে প্রতিষ্ঠান থেকেও সহযোগিতা করা হবে এমনকি উভয় পক্ষের সহযোগিতায় ছাতিরচর একটা মডেল গ্রামে পরিণত হবে মর্মে আশা ব্যক্ত করেন। ভবিষ্যতে আরও ভালো পদক্ষেপ নিয়ে ছাতিরচরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ব্যক্ত করেন এবং ইভিসি মহোদয় প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।