Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ জুলাই ২০২৩

গণশুনানি, “আত্মবিশ্বাস”, (সনদ নং-০০০৩৪)


প্রকাশন তারিখ : 2023-06-10

গণশুনানি, "আত্মবিশ্বাস”, (সনদ নং-০০০৩৪)

 

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি’র উদ্যোগে ১০ জুন, ২০২৩ অথরিটি এর সনদ প্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান “আত্মবিশ্বাস” এর চুয়াডাঙ্গাস্থ কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের সাথে সরাসরি গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত গণশুনানীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ্, বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন অথরিটির পরিচালক জনাব মো: নূরে আলম মেহেদী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অথরিটির উপপরিচালক জনাব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও জনাব মোঃ ফরিদুল  হক এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক জনাব রবিউল ইসলাম । জনাব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, উপপরিচালক, এমআরএ উক্ত গণশুনানির সঞ্চালনা করেন। "আত্মবিশ্বাস" এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আকরামুল হক বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠিত সভায় প্রতিষ্ঠানের ৩০ জন গ্রাহক এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্যে জনাব মোঃ আকরামুল হক বিশ্বাস বলেন, গণশুনানী এমআরএ কর্তৃক আয়োজিত এমন একটা অনুষ্ঠান যেখানে ঋণ গ্রহীতাদের সঙ্গে সরাসরি আলাপের মাধ্যমে তাদের মতামত গ্রহণ করা হয় যা সত্যিই প্রশংসনীয়। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে এমআরএ এর পদক্ষেপে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে এমআরএকে ধন্যবাদ জানান।  জনাব মো: নূরে আলম মেহেদী গণশুনানির উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা, গ্রাহকদের ঋণগ্রহণ প্রক্রিয়া, ঋণের ব্যবহার, সার্ভিস চার্জের হার, কিস্তি সংখ্যা, ঋণের ওভারল্যাপিং, গ্রাহকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ সন্তানদের পড়াশুনা, শিশুদের টিকা প্রদান, স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন এবং প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানকে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করার জন্য আহবান জানান।

প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমিতির মোট ৩০ জন সদস্য গণশুনানীতে উপস্থিত ছিলেন এবং সদস্যগণ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের বিষয়ে প্রশংসা করেন। জনাব রাবেয়া সুলতানা সুমি বলেন, অত্র এলাকার অধিকাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বিধায় তিনিও প্রতিষ্ঠান হতে এ খাতে ২ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে তাঁর ব্যবসা শুরু করেন। একসময় তার কোন অর্থ বা সম্পদ ছিল না মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঋণ গ্রহণ করে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং তিনি স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করছেন। জনাব মোছাঃ রাবেয়া খাতুন বলেন, তিনি ১০ বছর ধরে অত্র প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক হিসেবে রয়েছেন। ২০ হাজার টাকা হতে শুরু করে বর্তমানে তিনি ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করে গরু পালন করছেন মর্মে উল্লেখ করেন। গরু পালনকালে গরুর কোন ক্ষতি হলে বা গরু মারা গেলে প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি তহবিল হতে কোন সুবিধা প্রদান করা হয় কিনা এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান জানতে চাইলে জনাব রাবেয়া বলেন, এখাতে ঝুঁকি তহবিল হতে কোন সুবিধা প্রদান করা হয় না যা চালু করা হলে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী (মুদি দোকান) জনাব মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ ধরণের ব্যবসায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়, যা বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ঠ নয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে ঋণ প্রদানের পরিমান ৫০ লক্ষ টাকা এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা (ঋণের মেয়াদকাল) ৩/৪ বছর করার বিষয়ে তিনি পরামর্শ প্রদান করেন। বর্ণিত শুণানিতে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম কর্মী জনাব মেহরাব বিন সানভি ক্ষুদ্রঋণের সুদের হার (সার্ভিস চার্জ) কমানোর প্রস্তাব করেন। এছাড়া  উপস্থিত অন্যান্য সদস্য মৌসুমি ঋণ, দুর্যোগকালীন ঋণ প্রদান এবং সেলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করেন।  সকল সদস্য প্রতিষ্ঠান হতে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে বর্ণনা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন।   

অথরিটি এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এবং অনুষ্ঠিত গণশুনানির প্রধান অতিথি জনাব মোঃ ফসিউল্লাহ্ এ সময় সকলের বক্তব্য মনযোগ সহকারে শোনেন এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান “আত্মবিশ্বাস” এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, গণশুনানীতে উপস্থিত সদস্য কর্তৃক অথরিটির কর্মকর্তাদের নিকট নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহ পেশ করা হয়:

(১)ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণের পরিমান ৫০ লক্ষ টাকা করা;

(২) ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণের মেয়াদকাল ৩/৪ বছর করা;

(৩) ঋণের সার্ভিস চার্জ হ্রাসকরণ;

(৪)ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণের প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি তহবিলের অন্তর্ভূক্ত করা। 

(৫) এককালীন মৌসুমি ঋণ এবং দুর্যোগকালীন ঋণ সেবা চালু করা;

(৬) সদস্যদের জন্য সময়োপযোগী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা।